ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে দুই পক্ষ। রোববার সকালে ব্যাংকের ছয়জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজন। সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এস আলম পন্থীরা বহিরাগত এনে ইউনূস সেন্টারের দিক অস্ত্রসহ অবস্থান নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াত পন্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ২০১৭ সালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে সব পরিচালক ও এমডিদের তুলে নিয়ে ব্যাংকের মালিকানা বদল হয়। ব্যাংকটি তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে। এর পর থেকে এর থেকে আর্থিক অবস্থা চরম খারাপ হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে এস আলম পন্থীরা আর ব্যাংকে আসছেন না।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সরকার পতনের পরও বিভিন্ন উপায়ে ঋণের নামে অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপের লোকজন। গত সপ্তাহে তাদের বেনামি ঋণের ৮৪৮ কোটি টাকার চেক আটকে দেওয়া হয়। প্রধান কার্যালয় ও কয়েকটি শাখার কর্মকর্তাদের সহায়তায় আরও বিপুল অংকের অর্থ বের করে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। দ্রুত ব্যাংকটিতে সংস্কার না আনলে সঙ্কট আরও বাড়বে। ব্যাংক বাঁচাতে দ্রুত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তারা।
ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিনে এস আলম পন্থীরা ব্যাংকে ঢুকতে পারেনি। তবে রোববার বহিরগত অস্ত্রধারী এনে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা এখন ইউনূস সেন্টারের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত